- Advertisement -
Your Ads Here 100x100 |
---|
অনুসন্ধানী প্রতিবেদক:
দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতি, ঘুষ, অনিয়ম, রাজনৈতিক প্রভাব এবং ঠিকাদার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে থাকার অভিযোগে সমালোচিত হয়ে আসছে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান গণপূর্ত অধিদপ্তর । এই অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মঈনুল ইসলাম, যিনি অভ্যন্তরীণ সূত্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নথি অনুযায়ী, ব্যাপক কমিশন বাণিজ্য ও টেন্ডার নিয়ন্ত্রণে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
সুত্র বলছে, রাজনৈতিক সম্পর্ক, প্রশাসনিক প্রভাব ও ঠিকাদার সিন্ডিকেটের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক অদৃশ্য শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছেন এই প্রকৌশলী। সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হিসেবে তার নাম এখন জড়িয়ে পড়েছে শত কোটি টাকার দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে। এই প্রতিবেদন সেই ক্ষমতাচক্রের অন্ধকার দিক উন্মোচনের চেষ্টা করেছে।
ড. মঈনুল ইসলামের কর্মজীবনের শুরু থেকেই তার কর্মকাণ্ডকে ঘিরে বিতর্ক ছিল। ১৫তম ব্যাচের সহকারী প্রকৌশলীরা যেখানে ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর যোগ দেন, সেখানে তিনি প্রায় নয় মাস পর, ১৯৯৬ সালের ১২ আগস্ট চাকরিতে যোগ দেন। শুরু থেকেই প্রশাসনিক নিয়মের বাইরে চলা এবং প্রভাব খাটানোর প্রবণতা তার মধ্যে দেখা যায়। তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হলো, ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন—মোট ৯ বছর ৮ মাস ২২ দিন। সাধারণ নিয়মে এত দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে একজন সরকারি কর্মকর্তার চাকরি বহিষ্কার হওয়ার কথা থাকলেও তিনি বহাল ছিলেন পদে
বাস্তবেও তাই হয়েছিল—তাকে চাকরি থেকে চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, পরে তিনি মন্ত্রণালয়ে আপিলের মাধ্যমে পুনর্বহাল হন। এ ঘটনা কেবল একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার সরাসরি ইঙ্গিত বহন করে। অভিযোগ রয়েছে যে, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নিকটাত্মীয় হওয়ার সুবাদে তিনি এই অস্বাভাবিক সুবিধা পান।