ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাইবার সুরক্ষা আইনে করা মামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার প্রসিকিউশন পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল আলম।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে বুয়েট ক্যাম্পাসে একদল শিক্ষার্থী সহপাঠী শ্রীশান্তের বিরুদ্ধে “যৌন হয়রানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সাইবার বুলিংয়ের” অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভের মুখে চকবাজার থানা পুলিশ রাতেই তাকে হেফাজতে নেয়।
পরদিন (বুধবার) বুয়েটের সিকিউরিটি অফিসার আফগান হোসেন চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাজাহান সিরাজ তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন জানান।
শ্রীশান্তের পক্ষে তার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, “অজ্ঞাত আইডির ভিত্তিতে ধারণার ওপর ভিত্তি করে অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার ধারাগুলো জামিনযোগ্য।”
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, “এটি চাঞ্চল্যকর মামলা। আসামি ইসকনের সদস্য বলে জানা গেছে। তিনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন, যা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়াতে পারে।”
উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত বলেন, “ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ আছে, তবে তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পরবর্তী শুনানি হবে।”
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলে অবস্থান করে ‘উইকলি সার্ভিস ৯২৩’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে শ্রীশান্ত ইসলাম ধর্ম, আজান এবং ধর্মীয় অনুশীলন নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও বিদ্বেষমূলক পোস্ট দেন। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ওই আইডির প্রকৃত ব্যবহারকারী হিসেবে তাকে শনাক্ত করা হয়।