- Advertisement -
| Your Ads Here 100x100 |
|---|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ব্যাপক হামলা চালিয়ে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা অঞ্চলগুলো একে একে পুনরুদ্ধার করছে। বিশেষ করে চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও ড্রোন সমর্থন পেয়ে তারা এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক সরকার ইতোমধ্যে কিয়াউকমে ও হসিপাওসহ বেশ কয়েকটি কৌশলগত শহর পুনর্দখল করেছে। চীনের সীমান্তবর্তী এসব এলাকায় হাজারো ড্রোন, মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার ও ভারী বোমা ব্যবহার করছে জান্তা বাহিনী।
গত বছর বিদ্রোহী গোষ্ঠী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) কিয়াউকমে দখল করেছিল। সেটি মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের সম্ভাব্য ‘বাঁকবদল’ বলে মনে করা হলেও, তিন সপ্তাহের অভিযানে শহরটি পুনরুদ্ধার করে জান্তা বাহিনী।
আক্রমণের সময় ৫০০ পাউন্ড ওজনের বহু বোমা ফেলে পুরো শহরটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে শত শত বাসিন্দা পালিয়ে গিয়েছিলেন, পরে কেউ কেউ ফিরে এসেছেন।
আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে জান্তা সরকার। এই নির্বাচনে চীনের খোলামেলা সমর্থন রয়েছে। তবে সাবেক নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) অংশ নিতে পারছে না।
জান্তা যে সব এলাকা পুনর্দখল করতে পারছে, সেসব জায়গায় নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্রগুলো।
বৃহত্তম বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এখন নেতৃত্বহীন অবস্থায় আছে। স্থানীয় গ্রামবাসী, অধিকারকর্মী ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত এই সংগঠনটি ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টকেও স্বীকৃতি দেয় না।
ফলে বিদ্রোহী শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন বাড়ছে, আর এই সুযোগে জান্তা একের পর এক অঞ্চল পুনরুদ্ধার করছে।
চলতি বছর মিয়ানমারে কমপক্ষে এক হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। কিয়াউকমে ও হসিপাও অঞ্চলে এখনো প্রতিদিনই বিমান হামলা ও স্থলযুদ্ধ চলছে।
টিএনএলএর মুখপাত্র টার পার্ন লা বলেন,
“জান্তার হাতে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সেনা, ভারী অস্ত্র আর আকাশ থেকে হামলার সরঞ্জাম আছে।”

