28 C
Dhaka
মঙ্গলবার, অক্টোবর ২৮, ২০২৫

রামপুরা মামলায় হৃদয়বিদারক জবানবন্দি: “ছেলের মাথা ভেদ করে গুলি মায়ের পেটে লাগে”

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
রাজধানীর রামপুরায় গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে মা নিহত ও ছয় বছরের ছেলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার হৃদয়বিদারক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন এক বাবা।
তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সাক্ষী হিসেবে বৃহস্পতিবার এ জবানবন্দি দেন।
সাক্ষী মো. মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে বলেন,

“আমার ছেলে মুসা আইসক্রিম খেতে চেয়েছিল। আমি মা ও ছেলেকে নিয়ে নিচে নামি। গেটের বাইরে থেকে পুলিশের গুলি এসে আমার ছেলের মাথা ভেদ করে বের হয়ে যায়, আর একই গুলি মায়ের পেটে লাগে। মা মারা যান, ছেলে এখন একপাশে পক্ষাঘাতগ্রস্ত।”

তিনি কাঁদতে কাঁদতে জানান, তার ছেলে এখনো কথা বলতে পারে না, চলাফেরাও অসম্ভব।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই মামলায় প্রসিকিউশনের দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন মোস্তাফিজুর রহমান।
জবানবন্দির পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। আদালত আগামী ৩ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
মোস্তাফিজ জানান, তার বাসা থেকে মাত্র ৭০ ফুট দূরেই রামপুরা থানা।

“গেট থেকে স্পষ্ট দেখেছি— ওসি মশিউর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সরাসরি গুলি করছিল।”

তিনি বলেন, ছেলেকে প্রথমে ফেমাস হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

“তখন মাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে জানতে পারি, ছেলের মাথা ভেদ করা গুলিটাই মায়ের পেটে লেগেছে।”

পরদিন সকালে তার মা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে আরও জানান,

“মায়ের লাশ নিতে চাইলে রামপুরা থানার অনুমতি ছাড়া দিতে চায়নি ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। অনেক অনুরোধের পর শর্ত দেওয়া হয়— লাশ যেন রামপুরা থানায় না নেওয়া হয়।”

তিনি বলেন, ছেলে তখন আইসিইউতে থাকায় মায়ের জানাজায়ও যেতে পারেননি।
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

কুড়িগ্রামে সেতুর নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হয়, তবুও সেতু নির্মাণ হয়না

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নে একটি সেতুর নির্মাণ কাজের ৪ বছর মেয়াদ শেষ...