26 C
Dhaka
বুধবার, নভেম্বর ৫, ২০২৫

হোয়াইট হাউসের নতুন বিধিনিষেধে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

সাংবাদিকদের ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউস তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে থাকা বিভিন্ন সংগঠন এই সিদ্ধান্তকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য “বড় হুমকি” হিসেবে বর্ণনা করেছে।
নতুন বিধি অনুযায়ী, সাংবাদিকরা এখন থেকে প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এবং তার সহযোগীদের অফিসসহ ওয়েস্ট উইংয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কক্ষে পূর্বানুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন না।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল (এনএসসি) জানিয়েছে, গঠনগত পরিবর্তনের পর সংবেদনশীল তথ্যের সুরক্ষার স্বার্থে ‘আপার প্রেস’ নামে পরিচিত রুম ১৪০–এ প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের সময় নির্ধারণ করতে হবে।
তবে সাংবাদিক সংগঠনগুলো বলছে, এই সিদ্ধান্ত হোয়াইট হাউসের দীর্ঘদিনের উন্মুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ভেঙে দিচ্ছে। আগে সাংবাদিকরা সহজেই প্রেস কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে তথ্য যাচাই করতে পারতেন।
হোয়াইট হাউস করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (WHCA) এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি ওয়েইজিয়া জিয়াং বলেন,

“প্রেস সেক্রেটারির অফিসে প্রবেশাধিকার সরকারকে জবাবদিহির আওতায় রাখার অপরিহার্য মাধ্যম। এই নিষেধাজ্ঞা গণমাধ্যমের স্বচ্ছতার ওপর আঘাত।”

তবে ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি স্টিভেন চুয়েং এক্স-এ পোস্ট করে যুক্তি দিয়েছেন, কিছু সাংবাদিক অনুমতি ছাড়া অফিসে ভিডিও ধারণ, ছবি তোলা এবং গোপন বৈঠকে আড়ি পাতার চেষ্টা করেছেন।
এই নির্দেশনা এমন সময় জারি হলো, যখন পেন্টাগনও সম্প্রতি সাংবাদিকদের জন্য নতুন মিডিয়া নীতি চালু করেছে। এতে বলা হয়েছে, “নিরাপত্তা ঝুঁকি” হিসেবে বিবেচিত সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্সেস বাতিল করা যেতে পারে।
রয়টার্স, এপি ও ব্লুমবার্গসহ অন্তত ৩০টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ওই শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, একে তারা “স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি সরাসরি হুমকি” বলে মন্তব্য করেছে।
এর আগে ১৯৯৩ সালে ক্লিনটন প্রশাসন ও ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ও সাংবাদিক প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, কিন্তু জনচাপের মুখে তা প্রত্যাহার করতে হয়।
প্রেস স্বাধীনতা রক্ষাকারী সংগঠনগুলো বর্তমান সিদ্ধান্তটি বাতিলের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সম্পর্কের ওপর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

৩৬ বছরের শিক্ষকতার ইতি টানলেন শায়েস্তা খাতুন

প্রধান শিক্ষক শায়েস্তা খাতুনের চাকরিজীবনের শেষ দিন। তাঁকে বিদায় জানাতে এসেছেন শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এবং এলাকার সাধারণ...