| Your Ads Here 100x100 |
|---|
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর গ্যালারির মুখ ভার। ম্যাচ শেষে যখন লিটন দাস দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন—“পরের বার হাসি ফোটাতে পারব”—ততক্ষণে স্টেডিয়াম ফাঁকা। হতাশ সমর্থকরা কেউ আর বাড়ি ফেরার পথে ট্রাফিক জ্যামেও আটকে থাকতে চাননি।
সংবাদ সম্মেলনে লিটনের মুখেও হতাশার ছাপ। প্রশ্ন উঠল—বাংলাদেশের ব্যাটাররা কি আধুনিক টি২০ ক্রিকেটে টিকে থাকার মতো প্রস্তুত? লিটনের উত্তর,
“আমরা ঘূর্ণি উইকেটে সুইপ বা রিভার্স সুইপ ঠিকভাবে খেলতে পারি না। এটা ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত স্কিলের বিষয়।”
লেগ সাইড নির্ভর শট খেলার প্রবণতাকে ঢাকতে গিয়ে তিনি শিশিরের অজুহাতও তুলে ধরলেন,
“আজ প্রচুর শিশির পড়েছে। আমাদের বোলাররা বল গ্রিপ করতে পারেনি।”
সঙ্গে সঙ্গে পাশের সাংবাদিকের কটাক্ষ, “জানতাম হারলে শিশিরকেই দায় দেওয়া হবে।”
মাত্র ১৫১ রান করে ম্যাচ জেতার আশা কতটা বাস্তবসম্মত—এই প্রশ্নে লিটনের জবাব,
“এই সিরিজে ১৬৫ রানের বেশি হয়নি। আরও কিছু রান হলে ভালো হতো, কিছু ক্যাচও মিস হয়েছে।”
প্রেশার নেওয়ার আগের মন্তব্যের প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বললেন,
“হ্যাঁ, আমি প্রেশার চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিপক্ষের চাপ সামলে উঠতে পারিনি।”
সমর্থকদের হতাশা ও ব্যাটিং লাইনআপে ঘাটতির প্রসঙ্গেও খোলামেলা লিটন,
“দলের সবাই একসময় ভালো খেলেছে। কিন্তু টানা ম্যাচের কারণে অনেকেই ক্লান্ত। কিছুটা বিশ্রাম পেলে হয়তো সবাই ফিরবে ফর্মে।”
তবে নতুনদের সুযোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বেশ সংযত,
“নতুনদের নিয়েও ঝুঁকি থাকে। আমরা আধুনিক ক্রিকেটে অন্যদের তুলনায় স্কিলের দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছি।”
নিজের ব্যর্থতাও স্বীকার করেন লিটন,
“আমি ইনজুরির পর ফিরে প্রত্যাশা মতো রান করতে পারিনি। বাকিরা টানা খেলছে। একটু বিশ্রাম পেলে সবাই ভালো করবে আশা করি।”

