28 C
Dhaka
মঙ্গলবার, নভেম্বর ৪, ২০২৫

মনোনয়ন বঞ্চিতদের নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

 

২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, বাকি আসন সমমনা দল ও আলোচনার জন্য ফাঁকা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। আন্দোলন-সংগ্রামে পাশে থাকা সমমনা দলগুলোর জন্য বাকি আসনগুলোর বেশির ভাগ ফাঁকা রাখা হয়েছে।
তবে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেকেই এবার দলে জায়গা পাননি। মনোনয়নবঞ্চিত নেতাকর্মীদের অনুসারীরা সোমবার রাতে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বলে জানা গেছে।
রুমিন ফারহানা: ‘তাদের এই আবেগকে সম্মান করতে হবে’
মনোনয়ন না পাওয়ায় মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন,

“মনোনয়ন নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় অনেক নেতাকর্মী আবেগে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন—এই আবেগকে সম্মান করতে হবে। এই নেতাকর্মীদের জন্যই একেকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী এক নাম্বার, দুই নাম্বার, তিন নাম্বারে চলে আসেন।”

তিনি আরও বলেন,

“এত নেতাকর্মীর ভালোবাসা, ত্যাগ ও শ্রমেই আমরা এত দূর এসেছি যে মনোনয়নের প্রত্যাশা করা স্বাভাবিক। সুতরাং তাদের মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়, সেটাও আমাদের সম্মান করতে হবে।”

রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন এক বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে।
‘প্রত্যেক আসনে ১০ জন করে মনোনয়নপ্রত্যাশী’
বিএনপির এই নেত্রী জানান, মনোনয়ন চূড়ান্ত করার আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একাধিকবার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

“তিনি আমাদের বলেছেন, সবাইকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। ৩০০ জনের বেশি প্রার্থী দেওয়া যায় না। তবে যারা এবার মনোনয়ন পাননি, তাদের অন্যভাবে সংগঠনে গুরুত্ব দেওয়া হবে।”

রুমিন বলেন,

“এত বড় একটা দলে প্রতিটি আসনে প্রায় ১০ জন পর্যন্ত মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকেন। সেখান থেকে একজনকে বাছাই করা খুবই কঠিন।”

এখনো ঘোষণা হয়নি ৬৩ আসনে
মনোনয়ন বঞ্চিতদের কেউ কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন—এমন আশঙ্কা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রুমিন বলেন,

“আমাদের মহাসচিব বলেছেন, এটা সম্ভাব্য তালিকা। এখানে পরিবর্তনও হতে পারে, নতুন নামও যুক্ত হতে পারে। এখনো ৬৩টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। তাই কে স্বতন্ত্র দাঁড়াবেন, সেটা এখনই বলা কঠিন।”

প্রেক্ষাপট
বিএনপি রবিবার রাতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। এতে দেখা যায়, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তিন আসনে, এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থী হয়েছেন।
তালিকা প্রকাশের পর রাতেই চট্টগ্রাম, বগুড়া, ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীদের সমর্থকদের বিক্ষোভ হয়। কিছু এলাকায় সড়ক অবরোধ ও টায়ার জ্বালানোর ঘটনাও ঘটে।
বিশ্লেষণ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির এই আংশিক প্রার্থী তালিকা দলীয় ঐক্য ও কৌশলগত সমন্বয়ের এক পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্দোলন থেকে নির্বাচনে যাত্রাপথে দলে যে অভ্যন্তরীণ চাপ তৈরি হয়েছে, সোমবারের বিক্ষোভ তারই ইঙ্গিত দেয়।
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

তথ্য সংগ্রহে হাসপাতালে সাংবাদিককে বাধা ও মানববন্ধন; সংবাদ প্রকাশে পরিদর্শনে ইউএনও ও ওসি

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিক হেনস্থার...