29 C
Dhaka
বুধবার, নভেম্বর ৫, ২০২৫

কে পাচ্ছেন মহেশখালী–কুতুবদিয়া্র মনোনয়ন

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
কক্সবাজারের চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটিতে ইতোমধ্যেই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। তবে জেলার সবচেয়ে আলোচিত ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আসন কক্সবাজার-২ (মহেশখালী–কুতুবদিয়া) এখনো রয়ে গেছে রহস্যে ঘেরা। দলীয় নেতা-কর্মীদের ভাষায়—এই আসনে “বড় চমক” আসতে যাচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরি বলেন, “কক্সবাজার-২ একটি ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আসন। এখানে প্রার্থী বাছাইয়ে চমক আসছে, তাই সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।”
দলীয় সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে এই আসন থেকে তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশী সাক্ষাৎকার দিয়েছেন—
এ টি এম নুরুল বশর চৌধুরী
আলমগীর ফরিদ
আবু বক্কর ছিদ্দিক
তবে কেন্দ্রীয় আলোচনায় আলমগীর ফরিদ ও আবু বক্কর ছিদ্দিক মনোনয়নের দৌড় থেকে প্রায় ছিটকে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, আলমগীর ফরিদের বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আছে। আওয়ামী লীগ আমলে তিনি দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন না—বরং স্থানীয় আওয়ামী নেতা ও নিজের আত্মীয় এমপি আশেকউল্লাহ রফিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার অভিযোগও উঠেছে।
এছাড়া, ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীর বিপরীতে নিজের ভাতিজাকে দাঁড় করানোয় তিনি বহিষ্কৃত হন। ২০২৪ সালেও একইভাবে ভাতিজাকে নির্বাচনে নামানোর ঘটনায় তাঁর অবস্থান আরও দুর্বল হয়।
দলীয় নেতাদের মতে, মহেশখালী আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক, স্থানীয় “শফি হত্যা মামলা”তে পরিবারের নাম আসা, এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সঙ্গে দূরত্ব—সব মিলিয়ে তাঁর মনোনয়নের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
অন্যদিকে, আবু বক্কর ছিদ্দিকের ভাই মকছুদ মিয়াকে ঘিরে বিতর্ক থাকায় কেন্দ্রীয় নেতারা তাঁর প্রতিও আস্থা হারিয়েছেন।
বিএনপি সূত্র মতে, কক্সবাজার-২ আসনটি কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় দল এখানে “হাই-প্রোফাইল” প্রার্থী দিতে চায়।
আলোচনায় সবচেয়ে বেশি উঠে এসেছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের নাম। যদি তিনি এখানে প্রার্থী হন, তাহলে কক্সবাজার-১ আসনে প্রার্থীর পরিবর্তন আসবে।
তবে বিকল্প হিসেবে প্রাথমিক ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এ টি এম নুরুল বশর চৌধুরীকে। পাশাপাশি, সালাহউদ্দিন আহমদ ঘনিষ্ঠ একটি “নতুন মুখ” নিয়েও আলোচনা চলছে, যিনি স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “এই আসনে বিএনপি এবার বড় চমক দিতে যাচ্ছে। অপেক্ষা শুধু কেন্দ্রীয় ঘোষণার।”
সামাজিক মাধ্যমে গুঞ্জন ইউসুফ বদরি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “কক্সবাজার-২ কুতুবদিয়া–মহেশখালী জিওগ্রাফিক্যালি ইম্পোর্ট্যান্ট এরিয়া! সো, ওয়েট অ্যান্ড সি, ফর সারপ্রাইজ!”
এই পোস্টের পর থেকেই স্থানীয় বিএনপি মহলে জোর গুঞ্জন—এখানে নতুন কিংবা হেভিওয়েট প্রার্থী আসতে পারেন।
মহেশখালীর দক্ষিণাঞ্চল থেকে অতীতে বেশ কয়েকজন নেতা বড় দলগুলোর মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে এবার সেই ধারায় পরিবর্তন আসছে। দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় উত্তর মহেশখালীতে প্রার্থী দেওয়ার দাবি জোরালো হয়েছে।
একজন স্থানীয় বিএনপি কর্মীর ভাষায়—

“সালাহউদ্দিন সাহেব রাজনৈতিকভাবে চতুর মানুষ, তিনি মহেশখালী–কুতুবদিয়া আসনে দাঁড়ালে সেটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। উপকূলীয় এলাকায় গোষ্ঠীগত বলয়ের বাইরে গিয়ে জেতা কঠিন। নুরুল বশর সাহেব মনোনয়ন পেলে জামায়াতের পাল্লা ভারী হবে। তবে যদি মহেশখালী থেকে আলমগীর ফরিদ ধানের শীষ পান, তাহলে সব সমীকরণ পাল্টে যাবে—কুতুবদিয়া থেকেও বিপুল ভোট পাবেন।”

তিনি আরও বলেন, “রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই, তবে জিততে হলে মহেশখালী থেকেই প্রার্থী দিতে হবে। দিনশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করুক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

মমতা ব্যানার্জির পোস্টের জবাবে যা বললেন শাহরুখ

বলিউডের কিং খান শাহরুখ খানের ৬০তম জন্মদিন ঘিরে উৎসবের রেশ এখনো কাটেনি। বিশ্বজুড়ে কোটি ভক্তের শুভেচ্ছায় ভাসার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের...