পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে হত্যার ঘটনায় একাধিক ব্যাকআপ টিম কাজ করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। অন্যদিকে মামুনের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেয়া দুইজন ছাড়াও আরও একজনের পরিচয় মিলেছে।
সূত্রের দাবি, এদের মধ্যে একজন মামুনের ভাগ্নে রনি, যিনি আগে সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। চাকরি ছেড়ে পরে যোগ দেন আন্ডারওয়ার্ল্ডে।
মামুনের পরিবারের অভিযোগ, “ভালো পথে ফিরতে চাওয়ার কারণেই ইমন বাহিনীর হাতে খুন হয়েছেন মামুন।”
২০২৩ সালে ইমন গ্রুপের হামলায় মামুন গুরুতর আহত হলেও, তখন নিরীহ পথচারী ভুবন চন্দ্র গুলিতে মারা যান। তার সহধর্মিণী আজও বিচার না পেয়ে হতাশ।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে হত্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে ফেরার পথে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয় মামুনকে। ঘটনার সিসি ফুটেজে দেখা যায়, অন্তত তিনজন ব্যক্তি কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছে।
সূত্র জানায়, মাথায় ক্যাপ ও মুখে মাস্ক পরা যাকে গুলি করতে দেখা গেছে, তিনি ভাগ্নে রনি। অন্যদিকে চেক শার্ট পরা গুলিবর্ষণকারীকে স্থানীয়ভাবে সবাই ‘কুত্তা ফারুক’ নামে চেনে। আর গুলিবর্ষণকারীদের ঠিক পেছনে থাকা আরেকজনকে আন্ডারওয়ার্ল্ডে ‘স্যুটার কামাল’ নামে চেনে স্থানীয়রা।
পুলিশের ধারণা, হত্যার আগে ও পরে একাধিক ব্যাকআপ টিম মাঠে ছিল—যারা পালানোর রুট ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়তা দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধানমন্ডি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ‘ইমন বাহিনী’ নামে একটি চক্র প্রভাব বিস্তার করছে। মামুন একসময় ইমনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরে দুই গ্রুপের বিরোধ শুরু হলে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটে।
এক ব্যবসায়ী জানান, “আমার দোকানে হামলা চালিয়ে ইমনের লোকজন আমাকে মারধর করে। আমি থানায় ইমনকে প্রধান আসামি করে মামলা করি, কিন্তু পরে আর কিছুই হয়নি।”