জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও গত বছরের ৫ আগস্টের ঘটনা সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে ১৭ নভেম্বর। এ রায় বিশ্বের নজরে রাখার লক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্ক্রিনে সম্প্রচার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
বিচার ও রায় ঘোষণার প্রেক্ষাপট
-
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত ১৩ নভেম্বর সকালেই রায়ের তারিখ নির্ধারণ করে।
-
বিচারিক বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
-
রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ প্রমুখ।
রায়ের গুরুত্ব
-
গোটা জাতি এবং আন্তর্জাতিক মহলে এই রায়কে উদাহরণ প্রমাণের শর্তে বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও দৃষ্টান্ত হিসেবে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
-
স্ক্রিনে সরেস সম্প্রচার নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে যেসব মানুষ মানুষজন আদালতে যেতে পারবেন না, তাঁরা রায়ের প্রেক্ষাপট সরাসরি দেখতে পান।
-
ধারণা করা হচ্ছে, বড় পর্দায় সম্প্রচার কয়েকটি পার্ক, জনসাধারণ চত্বরে বা মঞ্চ স্থানে করা হবে।
মামলার তথ্য
-
আসামি তিনজন: শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
-
প্রসিকিউশন ৫টি গুরুতর অভিযোগ এনেছে: উসকানি, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ, নির্দিষ্ট হত্যাকাণ্ড (আবু সাঈদ), চানখারপুলে হত্যাসহ লাশ পোড়ানো।
-
মামলার দালিলিক প্রশস্ততা উঁচু — প্রায় ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার প্রমাণ ও তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, বিচারপ্রক্রিয়ায় ৮৪ জন সাক্ষী দাখিল করেছেন।
সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া
-
অনেকেই বলছেন, রায় ঘোষণা করা শুধু প্রতিবেশী দেশ বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ইমেজকে শক্তিশালী করার প্রয়াস — তবে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা এটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার অংশ বলেও দেখছেন।
-
রিপাবলিক জনসাধারণ অংশে আছে উত্তেজনা ও প্রত্যাশা: মামলা এবং রায় পুরোপুরি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হলে, এটি ভবিষ্যতে বিচার ব্যবস্থার ওপর জনবিশ্বাস গড়ে তুলতে পারে।

