মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় ঘোষণার পর পলাতক দুই আসামি—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের—আপিল করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
রোববার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “পলাতক অবস্থায় আপিল করা বাংলাদেশের আইনেই নিষিদ্ধ। বিশ্বের কোনো দেশে এমন নজির আছে বলেও আমার জানা নেই।”
তিনি জানান, রায়ের অংশ হিসেবে আদালত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের দেশে থাকা সব সম্পদ ক্রোক ও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে জুলাই–অগাস্টের আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশও দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “বাংলাদেশ সরকার আইনসম্মত যে পদক্ষেপগুলো নিতে পারে, সেগুলোই গ্রহণ করবে।”
সম্পূর্ণ রায় হাতে পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা নিয়ে আদালত কোনো মন্তব্য করেননি জানিয়ে তিনি বলেন, “এই মামলার পরিধিতে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের প্রশ্নই ছিল না, তাই আদালত সে বিষয়ে কোনো মত দেননি।”
রায় কার্যকরের বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল পুনর্ব্যক্ত করেন, “পুরো প্রক্রিয়াটি আইনগত পথেই এগোবে। সরকারের পক্ষ থেকে বেআইনি কোনো উদ্যোগ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।”