গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। শীর্ষ নেতাদের দেশত্যাগ দলটির রাজনৈতিক ভিত্তিকে কার্যত শূন্য করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী–সমর্থকদের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি বলেও মত দেন নুর।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন,
“আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীরা যদি নতুনভাবে কোনো রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চান, সেসব দলে তাদের স্বাগত জানানো উচিত। কিন্তু যারা ছদ্মবেশে অন্য দলের ভেতরে ঢুকে পুরোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইবে, তাদের ব্যাপারে সকল দলকে সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু এলাকায় এমন ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেছে যারা প্রকাশ্যে একটি দলের রাজনীতি করলেও গোপনে আওয়ামী লীগের হয়ে বৈঠক করছে — যার লক্ষ্য নাশকতা বা নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা।
নুর বলেন,
“এ ধরনের দুর্বৃত্তদের স্থান রাজনীতিতে নয়, কারাগারেই হওয়া উচিত। আমরা সতর্ক করছি, কোনো দলে যেন তাদের জায়গা না দেওয়া হয়।”
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর নিজের রাজনৈতিক পথচলার কথা উল্লেখ করে বলেন,
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে দেশের নানা প্রান্তে আন্দোলন করতে গিয়ে রক্ত দিয়েছি। গণ–অভ্যুত্থানেও আমাদের ১২ জন নেতা–কর্মীসহ দুই হাজারের বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি তিন দশক ধরে দুই দলের বলয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল — আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এখন জনগণ সেই গণ্ডি ভেঙে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি করতে চাইছে।
অনুষ্ঠানে গণ অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান, জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুজন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শামীমুর রহমান সাগরসহ দলের অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।