- Advertisement -
| Your Ads Here 100x100 |
|---|
অন্তর্বর্তী সরকারের দেড় বছরের কর্মযজ্ঞ নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক পোস্টে তিনি দাবি করেন—বাংলাদেশের ইতিহাসে এত কম সময়ে কোনো সরকার এত সাফল্য দেখাতে পারেনি, যতটা দেখিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী প্রশাসন।
‘নামমাত্র সরকার’ থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অধ্যায়’—দুই রকম চেহারা
স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লিখেছেন, কাঠামোর দিক থেকে এই সরকার যেন একটি গ্রামীণ সংগঠনের মতো দুর্বল; অনেকেই একে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্বল প্রশাসন বলেও আখ্যা দিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন,
-
মাত্র ৫০০ দিনেই ১,৭০০+ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা,
-
নতুন আইন পাসে জটিলতা,
-
ছোট গোষ্ঠীর চাপের কাছে নতি স্বীকার,
-
পুলিশ ও প্রশাসনের অদক্ষতা—
এসব কারণে কেউ কেউ সরকারকে “ভীতু” বা “কিছু না-করার সরকার” বলে সমালোচনা করেছেন।
তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন বলেই মনে করেন প্রেস সচিব। তার দাবি, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশের জন্য এত তাৎপর্যপূর্ণ প্রশাসন আর গড়ে ওঠেনি।
প্রেস সচিবের দাবি অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্যগুলো
১. শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসা
বিপ্লব-পরবর্তী সহিংস প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা থাকলেও তা কার্যত দমন হয়েছে—যার ফলে সারাদেশে স্থিতিশীলতা ফেরত এসেছে।
২. যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কচুক্তিতে অগ্রগতি
তিনি দাবি করেন, কোনো লবিং কোম্পানি ভাড়া না করেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে।
৩. রেকর্ডসংখ্যক আইন পাস
মাত্র ১৫ মাসে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আইন পাস হয়েছে—এর মধ্যে শ্রম আইন সংস্কার অন্যতম।
৪. জুলাই ডিক্লারেশন ও জুলাই চার্টার
তাঁর ভাষায়, এই দুটি ঘোষণাপত্র সারাদেশে ভবিষ্যৎ রাজনীতির নতুন রূপরেখা তৈরি করেছে।
5. বিচার বিভাগের শক্তিশালী অবস্থান
সুপ্রিম কোর্ট এখন নিম্ন আদালতের ওপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, ফলে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সুযোগ কমেছে।
৬. বড় অঙ্কের বৈদেশিক বিনিয়োগ
ইউরোপীয় বন্দর পরিচালনাকারী একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান লালদিয়া টার্মিনালে বড় বিনিয়োগে সম্মত হয়েছে—বাংলাদেশে ইউরোপের সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ বলেই তিনি উল্লেখ করেন।
৭. নতুন পররাষ্ট্রনীতি কাঠামো
ইন্দো–প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান সুদৃঢ় করতে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন হয়েছে।
৮. অর্থনৈতিক সূচকে উন্নতি
তার দাবি অনুযায়ী—
-
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারমুখী হয়েছে
-
ব্যাংক খাতের লুটপাট উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে
-
টাকা (মুদ্রা) স্থিতিশীল
-
খাদ্যস্ফীতি ১৪% থেকে কমে ৭% এ নেমেছে
৯. জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার সূচনা
অতীতের অর্থনৈতিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন—”শেখ হাসিনাকেও তার অবস্থান বোঝানো হয়েছে”।
১০. গুম ও সহিংস রাজনীতির অবসান
জোরপূর্বক গুম বন্ধ হয়েছে, এবং সহিংসতা–নির্ভর রাজনীতি কার্যত নিষ্ক্রিয়।
১১. সাংস্কৃতিক আন্দোলনের উত্থান
নতুন ডকুমেন্টারি ও সাংস্কৃতিক চর্চা জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে—যাকে তিনি ‘ফারুকী ইফেক্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
১২. নিরাপত্তা সংস্থার সংস্কার
-
র্যাব আইনানুগভাবে কাজ করছে
-
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিরোধদলীয় হয়রানি কমেছে
-
বিগত ১৬ মাসে সাজানো ক্রসফায়ারের অভিযোগ ওঠেনি

