আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু মোল্লা শিশির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘আই ডোন’t কেয়ার’ লেখা একটি গ্রাফিক পোস্ট করেন। এই পোস্ট ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সোমবার রাতের দিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা লাভলু শিশিরকে ক্যাম্পাসে আটক করেন। পরে রাতেই তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
ডাকসুর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক ফাতিমা তাসনিম জুমা নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন—
“লাভলুকে পুলিশের হাতে তুলে দিলাম। গণহত্যাকারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও আমাদের অবস্থান এক—কোনো ‘গাদ্দারির’ জায়গা নেই। আমরা শহীদদের রক্তের মর্যাদা রক্ষার জন্য এসেছি।”
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের তাঁর প্রতিক্রিয়ায় আরও বলেন—
“হাসিনার পক্ষে পোস্ট দেওয়া ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার ধরা পড়েছে। প্রত্যেকজনকে খুঁজে বের করা হবে।”
শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর জানিয়েছেন, ঢাবির কয়েকজন শিক্ষার্থী লাভলুকে থানায় নিয়ে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হবে, সে বিষয়ে আইনসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
গত বছরের জুলাইয়ের ছাত্র–জনতার আন্দোলনের পরও ঢাবির উপাচার্য অফিসে দায়িত্বে থাকা পাঁচ কর্মকর্তা ছাত্রলীগপন্থি হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে পরে তাঁদের রেজিস্ট্রার দপ্তরে দায়িত্ব পরিবর্তন করা হয়। লাভলু শিশির ছিলেন ওই পাঁচজনের অন্যতম। তিনি ছাত্রজীবনে মাস্টারদা সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।