বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে একটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। এই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শাহিন মাহমুদ (এম.এইচ)।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সাইদুর রহমান গাজীর আদালতে মামলার আবেদন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইলতুৎমিশ সওদাগর। আবেদনপত্রে আরও একজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, “বাদীর বক্তব্য আদালত গ্রহণ করেছেন। আজ বিকেলেই মামলার আদেশ সংক্রান্ত তারিখ জানা যেতে পারে।”
অভিযোগের প্রেক্ষাপট
বাদীর আবেদনে বলা হয়—
১২ নভেম্বর বিএনপির ভার্চুয়াল সমাবেশে তারেক রহমান বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্য মূল্য পাওয়া বেশি জরুরি।”
এর পর ১৫ নভেম্বর আসামি শাহিন মাহমুদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখেন—
“৮৮ কোটি টাকা দিয়ে বুলেট-প্রুফ গাড়ি না কিনে ঐ টাকা কৃষকদের দিলে পেঁয়াজ, আলুর ন্যায্য দাম পেত।”
বাদীর দাবি, পোস্টটি মিথ্যা তথ্যভিত্তিক এবং কটূক্তিপূর্ণ, যা তারেক রহমানের সম্মান, দেশপ্রেম ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস হিসেবে দেখা যায়। অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামির উল্লেখিত ৮৮ কোটি টাকায় কোনো বুলেট-প্রুফ গাড়ি কেনা হয়নি, তাই পোস্টটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
যে ধারায় মামলা
মামলাটি করা হয়েছে সাইবার সুরক্ষা আইন ২০২৫–এর
-
২৩(২),
-
২৫(১),
-
২৭(১),
-
২৭(২)
ধারায়।

