16 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

কেন বাংলাদেশ ভূমিকম্পঝুঁকিতে?

জনপ্রিয়
রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলায় আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রায় ২৬ সেকেন্ড স্থায়ী এই কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়েছে নরসিংদীর মাধবদীতে।
চলতি জানুয়ারিতেই এটি তৃতীয়বারের মতো দেশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকম্প অনুভূত হলো। ৭ জানুয়ারি সারাদেশে যে কম্পন অনুভূত হয়েছিল, তার কেন্দ্র ছিল তিব্বতের শিগেৎসে শহরে, যা ঢাকা থেকে প্রায় ৬১৮ কিলোমিটার দূরে। এর আগে ৩ জানুয়ারি ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের হোমালিন এলাকা, ঢাকার সঙ্গে যার দূরত্ব ৪৮২ কিলোমিটার। সেগুলো তুলনামূলক মাঝারি মাত্রার হলেও আজকের ভূমিকম্প ছিল বেশি তীব্র।

কেন বাংলাদেশ ভূমিকম্পঝুঁকিতে?
আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা জানান, ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মা—এই তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। দেশের ভেতরে ও বাইরে বড় বড় ফল্ট লাইন বিদ্যমান—যা ভূমিকম্পঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠ টেকটোনিক প্লেট দিয়ে তৈরি। এসব প্লেট যখন সরে যায় বা পরস্পরকে ধাক্কা দেয়, তখন ভূ-স্তরের ভেতরে শক্তি সঞ্চিত হয়। একসময় সেই শক্তি শিলার ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে গেলে ফাটল ধরে এবং ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফল্টগুলোর একটি হলো ডাউকি ফল্ট, যা শেরপুর থেকে জাফলং হয়ে ভারতের করিমগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত। এ অঞ্চলের দেশগুলো—বাংলাদেশ, ভারত, চীন, নেপাল ও মিয়ানমার—এই সক্রিয় ফল্ট লাইনের কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকে।
ফারজানা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশ জাপানের মতো অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ না হলেও মডারেটলিই উচ্চ ঝুঁকির অঞ্চলে পড়ে। তার মতে, ঝুঁকির তুলনায় দেশের বিল্ডিং কোড মানার প্রবণতা খুবই কম, যা বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ায়।
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ড: ঘটনার ৬০ ঘণ্টা পর গৃহকর্মী আয়েশা ও তার স্বামী গ্রেপ্তার

ঢাকার মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডে মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল (১৫) হত্যাকাণ্ডের প্রায় আড়াই দিন পর গৃহকর্মী...