| Your Ads Here 100x100 |
|---|
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের সীমান্তঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের মানুষ। হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় কাবু হয়ে পড়েছে এই জনপদের লোকজন। দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী ও নদী-তীরবর্তী এলাকার ছিন্নমূল মানুষেরা।
বুধবার (০৩ ডিসেম্বের) সকাল ৬টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। রাজারহাট আবহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে তীব্র শীত উপেক্ষা করে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বেরিয়ে পড়েছেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুরসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
কুড়িগ্রাম জেলা সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের দিনমজুর মোঃ মানিক মিয়া (৫৫) বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব ঠান্ডা। ঠান্ডার কারণে কোদাল ধরা যায় না। মাটিকাটা খুব অসুবিধে হয়। ঠান্ডায় হাত-পাও কাঁপে।
কুড়িগ্রাম জেলা সদর উপজেলার চরমাধবরাম এলাকার কৃষিশ্রমিক মোঃ সেকেন্দার আলী (৬০) বলেন, ঠান্ডা এত বেশি যে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। কাজকাম করা খুব অসুবিধে। হামরা বয়স্ক মানুষ এমন ঠান্ডায় কাজ করা মুশকিল।
ধরলার বাঁধে বসবাসকারী বিধবা নারী আনারকলি (৫০) বলেন, নদীর পাশে আমার বাড়ি। এখানে খুব ঠান্ডা লাগে। একটা কম্বল হলে এবারের ঠান্ডাটা পার হতো।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, দিনে দিনে শীত আরও প্রকট হচ্ছে। তবে তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। হিমেল বাতাস ও ঘনকুয়াশায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।

