29.3 C
Dhaka
সোমবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫

দলীয় লেজুড়বৃত্তিকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিলেন ডাকসু’র জি এস প্রার্থী আশিকুর রহমান

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
খবরের দেশ ডেস্ক :
কোন রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা নেই, নেই কোন ব্যাক্তি বিশেষের স্তুতির সমাহার । রাজনৈতিক  লেজুড়বৃত্তির বাইরে এসে   ডাকসু’তে  কেন্দ্রীয় জিএস পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান । তার ভিন্নধর্মী ইশতেহার , নিজের ব্যাক্তিত্বের সাবলীল প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং নেটিজেনদের মধ্যে দারুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নজর রাখা অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন আশিকুর রহমান যদি তার প্রচারণায় এই আনপ্যারালাল প্রকাশ ভঙ্গী ধরে রাখতে পারেন তাহলে তিনি সবাইকে চমকে দিতেও পারেন। যে ইশতেহার বা স্ট্যাটাস ঘিরে সারা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম হয়েছে তাতে তিনি অত্যন্ত নির্মোহভাবে   ঢকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন।  ্তার লেখার স্বাতন্ত্র তাঁকে এই প্রতিযোগীতাপূর্ণ নির্বাচনে  তাকে আলাদা করে তুলেছে । আশিকুর রহমান স্ট্যাটাসে যা লিখেছেন তা সম্পুর্ণ অপরিবর্তনীয় রেখে পাঠকদের জন্যে তুলে ধরা হলো-

‘ডাকসুতে আগুন লাগাতে চলে আসলাম বন্ধুরাকেন্দ্রীয় জিএস পদে প্রার্থীতার ঘোষণা

১. অ্যাটেনডেন্স নম্বর শিথিলকরণ

I declare war on my faculties. কেন আমাকে ওই ৫ মার্কের জন্য ঘণ্টার পর ঘন্টা বস্তাপঁচা লেকচার শোনা লাগবে?এর থেকে ক্লাস না করে ভালো রেজাল্ট করা যায়। And they use it as a weapon.
অ্যাটেনডেন্স ৭০-৭৫% হলেই ফুল মার্ক দেয়া উচিত। আর ৫০% থাকলেও পরীক্ষায় বসতে দেয়া উচিত।কিউএস রাঙ্কিং দিয়ে আদৌ কিছু হয়? আমাদের ঘাড়ের উপর পা দিয়ে জাতে উঠার চেষ্টা করলে হবে না। অবশ্যই শিক্ষার্থীদের সুবিধা আগে। এই একটা কারণই যথেষ্ট ডাকসুতে দাঁড়ানোর। আরও পয়েন্ট আছে। যেগুলা সবাই দিয়েছে, অমুক উন্নয়ন, তমুক উন্নয়ন, এগুলা চাইলেই কপি করে এখানে যোগ করে দেয়া যাবে। কিন্তু আমি ওই “উদ্দীপকের গুরুত্ব অপরিসীম” টাইপ লোক না। বাস্তবতা হলো সদস্য হিসেবে তেমন পরিবর্তন আনার কারোরই সেরকম সুযোগ/মুরোদ নাই। সর্বোচ্চ প্রেশারাইজ করতে পারবে। আর সমস্যাগুলো খুঁজবেন আপনারা। আমি রিপ্রেজেন্টেটিভ। আপনারা আমাকে সমস্যাগুলো বলবেন, সেটা নিয়ে দায়িত্বশীলদের সাথে ফাডাফাডি করার দায়িত্ব আমার। ফাডাফাডি, প্রেসারাইজ, আলোচনা করে দাবি আদায় আমার কাজ, সোফায় বসে আরাম করে তামাশা দেখা আপনার কাজ। কিন্তু হয় উল্টোটা। সমস্যা বের করে নেতারা আর তার জন্য রাস্তায় কষ্ট করে আন্দোলন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যাইহোক, উপরের ইশতেহারটা ছিল যখন শুধু সদস্য পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু এখন পরিধি বড় তাই মেইন ফোকাস হলো ঢাবির যে রিসোর্স আর ইনফাস্ট্রাকচার আছে সেটা কিভাবে তার ফুল পটেনশিয়ালে ইউটিলাইজ করা যায় সেটা নিয়ে।
মেয়েদের যাতায়াত, নিরাপত্তা, বিশেষ করে আবাসন সমস্যার জন্য ক্যাম্পাসে হল নির্মাণ অথবা কর্মচারীদের যেকোনো একটি ভবন হোস্টেলে( হল না) রূপান্তরের বিষয়ে কাজ করব।
এছাড়াও ক্যাম্পাস যেন বহিরাগত জনসমাবেশের পার্কিং স্লট আর মূত্রবিসর্জনের জায়গা না হয়ে যায়, একাডেমিক এরিয়ায় সকল মিটিং মিছিল শব্দদূষণ বন্ধ আর সর্বোচ্চ রাজুতে করার এখতিয়ার সেটাও প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে হবে তার চেষ্টা করব। ঢাবিতে কুরআন তিলাওয়াত হবে,সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা হবে,কনসার্ট সব হবে। কেউ কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবে না। এছাড়াও যা করতে চাই
Anime cosplay festival, regular programming competition, Drone making events (combat and surveillance) etc.
A man’s vision and ideas are endless.
আমি বিশ্বাস করি আমাদের পোলাপাইনরা পর্যাপ্ত ফান্ডিং পেলে মেধা আর রিসোর্স পরিপূর্ণভাবে ইউটিলাইজ করতে পারবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উচ্চমানের গবেষণা হবে। এমনকি আমার বিশ্বাস তারা State of the art technology তৈরি করতে পারবে আর সেটার শুরু হবে এই ঢাবি থেকেই ইনশাআল্লাহ।
আমাকে কেনো ভোট দিবেন।
আর্থিক সততা:
ইনভেস্টমেন্ট সেই করে যে লাভের আশায় থাকে। আমার এখানে কোনো ইনভেস্টমেন্ট নাই, সুতরাং লাভও নাই। আর আমি কেমন হিসাবী লোক আমার বন্ধুরা জানে১৭ জুলাই হল দখলের দিনেও গনিমতের মাল হিসেবে কিসুই নেইনি। যেখানে অন্যরা বাইকের তালা ভেঙে….yk
কোনো নারী কেলেঙ্কারি নাই 
ভাই ব্রাদার কোরাম নাই
স্ট্র্যাটেজিক দক্ষতা:
রাজনীতি দুইভাবে হয়। থিওরি আর ডাইরেক্ট অ্যাকশন। বন্ধুরা সব দ্বিতীয়টাই বিশ্বাসী(যদিও বেশিরভাগ এটাই কার্যকরী) হলেও আমি সব মেটিকুলাসলি প্ল্যান করে করতে পছন্দ করি। আমি পেশাদার রাজনীতিবিদ নই। এজন্যই আমি একজন নেতার পরিবর্তে একজন রাজনৈতিক আমলা হিসাবে কাজ করতে চাই। ডাকসু জিএস এর কাজও মোটাদাগে এমনই। সো আমি এখানে মূলত
“The Wartime Consigliere” from Godfather আপনি যদি অ্যানিমে ও মুভি লাভার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই Otaku কে ভোট দিবেন

আমাকে কেনো ভোট দিবেন না
আনরিস্পনসিভ: গভীর রাতে কোনো সমস্যায় পড়লে আমাকে ফোন দিলে অবশ্যই আমাকে পাবেন না। কারণ আমি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি। বাইকও নাই যে একটান দিয়ে চলে যাব।
তো ভোটাররা এই জায়গায় খেয়াল রাখবেন বিশেষ করে হল সংসদে যে, কোনো সমস্যায় পড়লে কাকে ফোন দিলে পাওয়া যাবে। যদিও প্রক্টরিয়াল টিম কে ফোন করলেও যথেষ্ট সাড়া পাবেন।

এক্সপোজ: যেহেতু অন্যায়- অনিয়ম একদমই সহ্য করতে পারিনা তো যদি অন্য সদস্যরা একটুও অনিয়ম বা সিকি পয়সার কমিশনবাজি করে, তাদের এক্সপোজ করে দিবো। তো যাদের সিলেটের পাথরচুরির সর্বদলীয় ঐক্যর মতো কিছু করার ইচ্ছা আছে তারা আমাকে ভোট দিবেন না। আর সবই আল্লাহর হাতে। ” আর নিশ্চয়ই আমার জন্য আমার রবই যথেষ্ট।”
বি: দ্র: অনেকেরই পোষ্টারের ছবি নিয়ে আপত্তি আছে।কিন্তু দুইটা ভোট কম পাবো এই ভয়ে যদি পিছপা হতাম তাহলে আমি নিজেকে আর রেসপেক্ট করতাম না।
A man must respect himself. A man must have his pride.
This is Gen-Z era. আমার পোস্টার, প্রচারণা সব Gen-Z স্টাইলেই হবে।
And, a debut should be dynamic.
I am what I am. Someone has to be.
And, whatever I do, I will do with full gusto.

ফান ফ্যাক্ট: ডাকসুতে দাড়াইছে সবাই, কিন্তু বসে আছে একজনই।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

১ ম্যাচে ৯৯ চার, ১২ ছক্কা ও ৭৮১ রান ; নারী ক্রিকেটে রেকর্ডের বন্যা

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে এক রুদ্ধশ্বাস ওয়ানডে ম্যাচে ৪৩ রানের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে ম্যাচটি আলোচনায়...