Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্ক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থীদের বড় ধরনের সাফল্যে নারী ভোটারদের প্রভাবশালী ভূমিকার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। বিশেষ করে মেয়েদের হলে শিবিরের প্যানেল উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শিবিরের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার চালানো হলেও অনেক নারী ভোটার সেটি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। প্রচারণার প্রথম দিনেই শিবিরের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা ও ছাত্রী প্রার্থী সাবিকুন নাহার তামান্নার ছবি বিকৃতির ঘটনায় ক্ষোভ তৈরি হয়। অনেক শিক্ষার্থী একে হিজাব–নিকাবি নারীদের প্রতি বিদ্বেষী মনোভাব হিসেবে দেখেছেন।
রোকেয়া হলে শিবিরের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম পেয়েছেন ১,২৭০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উমামা ফাতেমা পান ৫৪৭ ভোট এবং ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পান ৪২৩ ভোট। জিএস পদে শিবিরের এস এম ফরহাদ পান ৯৬৪ ভোট, যেখানে প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু পান ৫০৭ এবং ছাত্রদলের প্রার্থী পান ৪০২ ভোট। অন্য কেন্দ্রগুলোতেও অনুরূপ ফলাফল দেখা গেছে।
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থী তাহমিনা তামান্না বলেন, শিবিরকে নারীবিদ্বেষী বলা হলেও তারা সুনির্দিষ্ট জবাব দিয়েছে, যা মেয়েদের আস্থা অর্জন করেছে। সাবিকুন নাহারের ছবি বিকৃতির ঘটনায় হিজাবি–নিকাবি নারীদের মধ্যে প্রতিরোধ ও প্রতিনিধিত্বের অনুভূতি তৈরি হয়।
শামসুন নাহার হলের নিশাত আনজুমের মতে, ছাত্রীদের নিরাপত্তা, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতার ওপর গুরুত্ব দেওয়ায় শিবিরের প্রতি আস্থা বেড়েছে। কবি সুফিয়া কামাল হলের জান্নাত তিথি বলেন, সাম্প্রতিক আয়োজনগুলোতে শিবিরের ব্যবহার ও আচার-আচরণ অন্যদের তুলনায় ভিন্ন এবং নারীবিদ্বেষী নয়।
বাংলাদেশ–কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থী তানজিলা জানান, ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্যরা ধর্মীয় বৈঠকে কৌশলে ভোট চেয়ে কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন।
সব মিলিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা, হিজাবফোবিয়া-বিরোধী ক্ষোভ এবং নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করাই ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের অপ্রত্যাশিত অগ্রযাত্রার পেছনে বড় কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।