Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্ক :
ফ্রান্সের ক্রেডিট রেটিং কমিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা ফিচ, এমন সময়ে যখন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং চাপগ্রস্ত সরকারি অর্থব্যবস্থা সামলাতে মতবিরোধের মুখে রয়েছেন।
সার্বভৌম ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক দৃঢ়তা পরিমাপকারী শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর একটি ফিচ ফ্রান্সের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা “AA-” থেকে নামিয়ে “A+” করেছে। এটি বড় কোনো ক্রেডিট রেটিং সংস্থার রেকর্ডে ফ্রান্সের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্তর।
ফিচে বলা হয়েছে, যদি জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের ঋণের বোঝা আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে ঋণ স্থিতিশীল রাখার কোনো স্পষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বাইরু সংসদে আস্থাভোটে হেরে পদত্যাগ করার মাত্র চার দিন পর এই রেটিং হ্রাসের ঘোষণা এসেছে। বাইরু ঘাটতি ও ঋণ কমানোর লক্ষ্যে কৃচ্ছ্রসাধনমূলক বাজেটে বড় ধরনের ব্যয় সংকোচনের প্রস্তাব করেছিলেন, যা তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়ে গিয়েছিল।
ফ্রান্সের ক্রেডিট রেটিং “AA-” থেকে নামিয়ে “A+” করেছে আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা ফিচ। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত দেশের ঋণের পরিমাণ বাড়তেই থাকবে যদি না জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্ত এসেছে এমন সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বেয়রু সংসদে আস্থাভোটে হেরে পদত্যাগ করেছেন। তিনি বাজেটে বড় ধরনের ব্যয় সংকোচন প্রস্তাব করেছিলেন ঘাটতি কমাতে, যা বিরোধিতার মুখে পড়ে ব্যর্থ হয়। এক্স-এ প্রতিক্রিয়ায় বেয়রু লিখেছেন,“ফ্রান্স এমন একটি দেশ যার ‘অভিজাতরা’ সত্যকে প্রত্যাখ্যান করতে পরিচালিত করে এবং শেষ পর্যন্ত এর মূল্য দিতে হয়।”
বেয়রুর পতনের পর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে নিয়োগ দিয়েছেন। তবে তিনি সম্ভাব্য সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে আগামী বছরের বাজেট প্রণয়ন আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
ফিচ এক বিবৃতিতে জানায়,“আস্থাভোটে সরকারের পরাজয় ফ্রান্সের রাজনীতিতে ক্রমবর্ধমান বিভক্তি ও মেরুকরণকে প্রকাশ করে। এই অস্থিরতা আর্থিক একীকরণের সক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়।”
সংস্থাটি আরও বলেছে, বিদায়ী সরকার যেমন চেয়েছিল তেমনটি ঘটার সম্ভাবনা ক্ষীণ; ২০২৯ সালের মধ্যে ঘাটতি জিডিপির ৩%-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্য বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে।