| Your Ads Here 100x100 |
|---|
মানুষের জীবনকে সহজ ও গতিশীল করেছে। কিন্তু এর অপব্যবহার অনেকের জন্য বিপদ ডেকে আনছে। বিশেষ করে দেশের ছাত্র-যুব সমাজের একটি বড় অংশ অনলাইন জুয়ার মারাত্মক আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লুকিয়ে থাকা অ্যাপস ও লিঙ্কের মাধ্যমে তরুণরা জুয়ার জালে আটকা পড়ছে। সহজে টাকা আয়ের প্রলোভন এবং উত্তেজনাময় বিজ্ঞাপন তাদেরকে আকৃষ্ট করছে। প্রথমে সামান্য অংকের টাকা দিয়ে শুরু হলেও ধীরে ধীরে তা হাজারে, লাখে পৌঁছে যাচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যেই এ প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার প্রতি অনাগ্রহী হয়ে রাতভর মোবাইল স্ক্রিনে জুয়ার খেলায় ব্যস্ত থাকে। এতে তাদের শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারিবারিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।অভিভাবকরা অভিযোগ করছেন, তাদের সন্তানরা হঠাৎ করেই টাকা চাওয়া শুরু করেছে, আবার অনেকেই চুরি-ছিনতাইতেও জড়িয়ে পড়ছে। পুলিশ বলছে, অনলাইন জুয়ার কারণে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার সম্প্রতি কিছু অবৈধ অনলাইন জুয়ার সাইট ও অ্যাপ বন্ধ করলেও বিকল্প পথে নতুন সাইট তৈরি হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কেবল প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নয়, সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, তরুণদের জন্য খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও ইতিবাচক বিনোদনের সুযোগ না বাড়ালে এই আসক্তি রোধ করা কঠিন হবে। তাই পরিবার, শিক্ষক, সমাজ ও রাষ্ট্রকে
এম এ রাজ্জাক (সুমন) ,লৌহজং উপজেলা প্রতিনিধি

