26 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, মে ২২, ২০২৫

ক্ষুদ্র অর্থায়নে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের সুপারিশ

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

ইনাফি বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৫–২৬: মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের পরামর্শ সভা’ শীর্ষক একটি জাতীয় পরামর্শ সভায় দারিদ্র্য বিমোচনে এ খাতের কার্যক্রম টিকিয়ে রাখতে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার একটি ঘূর্ণায়মান তহবিল গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।

সোমবার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে এ সভায় দেশের মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের প্রতিনিধিরা আসন্ন জাতীয় বাজেট নিয়ে তাদের প্রত্যাশা তুলে ধরেন। ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথি  ছিলেন মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, আশার প্রেসিডেন্ট  আরিফুল হক চৌধুরী এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. হুমায়রা ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনাফি বাংলাদেশ ও সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং সাবেক কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনাফি বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান এমরানুল হক চৌধুরী। মূল প্রবন্ধে মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের প্রধান নীতিগত ও আর্থিক প্রত্যাশাগুলো তুলে ধরে বলা হয়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও দারিদ্র্য বিমোচনে মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের ভূমিকা অপরিসীম। এ খাতের কার্যক্রম টিকিয়ে রাখতে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল জরুরি। পাশাপাশি করনীতি সরল হলে আরও বেশি মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

সভায় দাতাদের সহায়তা কমে যাচ্ছে উল্লেখ করে অনুদান-নির্ভর সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সরকারি অনুদান বরাদ্দের আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা অর্থ মন্ত্রণালয় ও মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিয়মিত প্রাক-বাজেট পরামর্শ সভাগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন, যাতে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তে মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা ও চাহিদার প্রতিফলন দেখা যায়।

আসিফ সালেহ্ বলেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে আমরা স্থিতিশীলতার দিকে এগোলেও সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা ভুলে গেলে চলবে না। বর্তমানে দেশ নানা সংকটের মুখোমুখি। কোভিডের সময়ের মতো এই প্রেক্ষাপটেও মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে জলবায়ু অভিযোজন ও নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে বেকারত্ব মোকাবিলার মতো বিষয়গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিক খাতগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাজেটে বরাদ্দ রাখা হলে আমরা এই ভারসাম্য বজায় রাখতে পারব।

ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, মাইক্রোফাইন্যান্স খাতের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হলে নীতিনির্ধারক ও উন্নয়ন সহযোগীদের সমর্থন আদায় আরও সহজ হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থায়নের সুযোগ বাড়াতে হবে। বড় মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ব্যাংকের মতো সঞ্চয় সংগ্রহ করতে পারে এবং সেটি ছোট প্রতিষ্ঠানে অর্থায়নে ব্যবহার করতে পারে, তাহলে এ খাতের অর্থনৈতিক সংকট অনেকটাই দূর হবে।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

বালুকাণ্ডে বরিশালের ডজনখানেক বিএনপি নেতার পদ স্থগিত

  খবরের দেশ ডেস্কঃ মেঘনা নদীতে বালু মহালের ইজারা বাগাতে এক সেনা সদস্যকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় বরিশাল বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ...